জাতীয় নাগরিক কমিটি থানা পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী শনিবার তার ফেসবুক পোস্টে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি থানা পর্যায়ে গঠিত কমিটি ‘প্রতিনিধি কমিটি’ নামে পরিচিতি পাবে এবং প্রতিটি কমিটিতে অন্তত ২৫ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ শহীদ পরিবার বা আহত অভ্যুত্থানকারী, সংখ্যালঘু, কৃষক এবং শ্রমিক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
প্রতিনিধি কমিটি গঠনের ৬০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। জেলা পর্যায়ের থানা কমিটিতে কমপক্ষে ২১ জন এবং মহানগরের ক্ষেত্রে ৩১ জন সদস্য থাকবে। এছাড়া কমিটিতে শিক্ষক, আইনজীবী, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, গৃহিণী এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে তরুণ নেতৃত্বের (বয়স অনূর্ধ্ব ৫০) সমন্বয় থাকতে হবে।
এই কমিটিতে অংশগ্রহণের জন্য থানা এলাকার বাসিন্দা হওয়া বাধ্যতামূলক এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত বা সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা এতে থাকতে পারবেন না।
কমিটি অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে কাজ করবে এবং অভ্যুত্থানের স্পিরিট বজায় রেখে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবে।
প্রসঙ্গত, ৮ সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটে, যারা ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আন্দোলন সফল করতে চায়।